ঐদ্রিলা; করছো কি তুমি ? এই হিমশীতল রাত্রে কি আমায় মনে পড়ে ?
আগের বছর এমন সময় সবই ভালো ছিল; তুমি ছিলে আমি ছিলাম
রাত্র ভালো ছিল। গভীর রাতে তোমার সাথে হতো আলাপন; কথা ছিল
রস ছিল; আপন আপন ভাব ছিল। বন্ধন ছিল; না যাওয়ার পণ ছিল
ছিল ছিল কত কিছু ছিল। এখন কেন নেই ? দূরে না; তবু দূরত্ব বাড়ছেই।
ঐদ্রিলা; আমি তোমায় ভালোবাসি। এক সাগর না এক আকাশ;
এক বুক; এক টা জীবন একটা পূরো স্বপ্ন তোমায় দিলাম
ছোট খাটো আমায় দিলাম; ব্যর্থ একটা খনি দিলাম, অজস্র রাত দিলাম
একশো কোটি কবিতা আর বিশ্বাস দিলাম। নেবে? নাকি সূর্য ভালোবেসে
তার তাপেতেই জীবন করবে পার ? তবে এ ভিন্ন কিছু না
তোমার ইচ্ছা। আমি শুধু দিয়েই যেতে চাই; ভালোবাসা নাইবা পেলাম
যা দিয়েছো তাইবা কজন দেয়। তাই তোমায় আমি ভালোবাসি
এক জনম। না হাজার জনমভর।
ঐদ্রিলা? আমি ভীষণ একা এখন ঘুম কাতুরে চোখে
চোখ করছে জ্বালাতন তবু হৃদয় চায় তোমায়। ঘুমের মাঝেই আসো
আগের শীতে এমন সময় হতো কত কথা; কথার উষ্ণতায় গরমের উপক্রম
কি অনুভূতি। তাই আমি রাত্র ভালোবাসি; আবার রাত্র ঘৃণা করি
এই শীতে কেন হলে পর? স্মৃতির শীতলতায় হাত পা জমে গেল
কোন কাথা আর কম্বল দেবে সেই নাতিশীতোষ্ণ অনুভূতি?
ঐদ্রিলা। তোমার জন্য গান লিখেছি গান; হাজার শীতের উষ্ণতার ত্রাণ; তুম ত্রাণ দাতা
কম্বল না করছো ভালোবাসা দান। আমি এক ভিখারি
বহুকাল তৃষ্ণার্ত হৃদয় আর অঘুম চোখে সবকিছু ঝাপসা
বাস্তবতাও দেখি না; না কল্পণা। সুখের খোজে অন্ধকারে দিলাম ঝাপ
এখন আমার ফেরার পথ বন্ধ। দূরত্ব বাড়াতে বাড়াতে দেখো যেন পথ না হয় বন্ধ।
রাস্তা দেখে যেয়ো? হাজার বছর পরে যেন এইখানেতেই আসো।
আমি নাহয় হবো শালিক-প্যাচা। একটা কাক অথবা কেউটে পোকা;
পরের জন্মে হওয়া হয়ে গেলাম। খুজতে এসো উষ্ণতায় খুজে পাবে।
দূরত্ব টা ঘুচিয়ে দেব আবার; চলো এক হই নিঃশ্বাসে
যেন দূরত্ব টা ছিলনা কখনোই; আগের শীতের মতই।
ঐন্দ্রিলা। আমরা হবো এক; আবার। কোন এক হিমশীতল রাতে
চারপাশ কুয়াশাময়, বাস্তবতা থেকে দূরে। একে অপরের উষ্ণতা ভাগাভাগি করে
পুরনো স্মৃতির বদলে নতুন স্মৃতির জন্য হলেও; ঘুম কাতুরে প্যাঁচার সামনে কষ্টগুলো যাব ভূলে।